অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং Affiliate Marketing একটি কমিশন ভিত্তিক সিস্টেম। যেখানে কোনও কোম্পানির প্রচার ও প্রোডাক্টের বিক্রি বাড়াতে তৃতীয় কোনও কোম্পানি বা ব্যক্তি কাজ করে। এই মার্কেটিংয়ে চারটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। দ্য মার্চেন্ট, দ্য নেটওয়ার্ক, দ্য পাবলিশার বা প্রকাশক ও দ্য কাস্টোমার বা গ্রাহক।
১) মার্চেন্ট
যে প্রোডাক্ট বা কোম্পানি তৈরি করে তাকে মার্চেন্ট বলে। সেক্ষেত্রে প্রোডাক্টটি কোনও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, ই-বই, ডিজিট্যাল প্রোডাক্টও হতে পারে।
২) পাবলিশার/অ্যাফিলিয়েট
এরাই মার্চেন্টদের থেকে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে বা কমিশনের বিনিময়ে ওই কোম্পানি বা তার প্রোডাক্টের প্রচার করে। প্রচারের জন্য বিভিন্ন ডিজিট্যাল মার্কেটিং ক্যাম্পেন ব্যবহার করা হয়। Affiliate Marketing
৩) নেটওয়ার্ক
এই প্ল্যাটফর্মে অ্যাফিলিয়েট ও মার্চেন্ট দু’পক্ষই থাকে। মার্চেন্টরা অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে তাদের প্রোডাক্টের তালিকা দিয়ে দেয়। অ্যাফিলিয়েটরা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তার প্রচার করে। এর মাধ্যমেই দু’পক্ষের মধ্যে কমিশন নির্ধারিত হয়।
কাস্টোমার বা গ্রাহক Affiliate Marketing
এরা কোম্পানির তৈরি জিনিসটি কেনে। তবে মার্চেন্ট ও অ্যাফিলিয়েটারদের মধ্যে কী চুক্তি হয়েছে তা তাদের জানা থাকে না। তবে এর ব্যতিক্রম রয়েছে। কোনও কোনও সময় কমিশনের বিষয়টি উল্লেখ করা থাকে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কীভাবে কাজ করে?
ধরা যাক আপনার একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। আপনি তার প্রচার ফেসবুক বিজ্ঞাপন, গুগল অ্যাডওয়ার্ডস, অরগ্যানিক বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, কমিউনিটি এনগেজমেন্ট সহ আরও নানাভাবে করতে পারেন Affiliate Marketing.
কিছু কিছু সময় দেখা যায় একটা নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে কোম্পানি ও প্রোডাক্টের বিক্রি ও বৃদ্ধি থমকে যায়। সঠিক পরিকল্পনার অভাবও এর কারণ হতে পারে। তবে এই সময় অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিংয়ের সাহায্য নেওয়া হয়।
ধরুন আপনার www.website.com নামক একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। যার প্রচারের জন্য অ্যাফিলিয়েট ১ ও অ্যাফিলিয়েট ২ রয়েছে। কিন্তু অ্যাফিলিয়েট ১ থেকে আপনার বিক্রি বেড়েছে। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের মালিকের কাছে ট্যাগ সহ www.website.com?affiliate=1 লিঙ্ক চলে আসবে। যার মাধ্যমে মালিক বুধতে পারবে কোনও অ্যাফিলিয়েট থেকে তার বিক্রি হয়েছে। সেই অনুযায়ী মালিক কমিশনের টাকা দেবে।
কীভাবে অ্যাফিলিয়েট হবেন?
অ্যাফিলিয়েট হওয়ার বিভিন্ন রাস্তা রয়েছে।
১) হোমপেজে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কে খেয়াল রাখুন Affiliate Marketing
অনেক কোম্পানি তাদের হোম পেজে অ্যাফেলিয়েট অ্যান্ড ক্লিক টু লার্ন নামক জায়গা রাখে। সেখান থেকে ওই কোম্পানি বা তার প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েশন পদ্ধতির ব্যাপারে জেনে তার প্রচারের দায়িত্ব নিতে পারেন।
১) অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কে যোগ দিন Affiliate Marketing
কমিশন জাংশন, ইমপ্যাক্ট রেডিয়াসের মতো একাধিক নেটওয়ার্ক রয়েছে যেখানে মার্চেন্ট ও অ্যাফিলিয়াট উভয়েই থাকে। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের বদলে এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েশনের কাজ করলে অনেক বেশি সাফল্য আসে।
৩) কোম্পানিতে আবেদন করুন
বহু কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের বিষয়টি উল্লেখ করা থাকে না। কিন্তু আপনি বিভিন্ন কোম্পানিতে ইমেল করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের বিষয়ে খোঁজ নিতে পারেন।
৪) ভালো ব্লগ তৈরি করুন
আপনি একটি ভালো ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করুন যাতে মার্চেন্টরা আপনার কাছে এসে আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়। অবশ্যই সেটি নির্দিষ্ট কমিশন বা টাকার বিনিময়ে।
৫টি বিখ্যাত অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক হল
-
কমিশন জংশন
-
অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস
-
ইমপ্যাক্ট রেডিয়াস
-
ক্লিকব্যাঙ্ক
-
শেয়ারএসেল